কোন ক্ষারকগুলো পানিতে দ্রবণীয় এবং কোনগুলে অদ্রবণীয়।

কোন ক্ষারকগুলো পানিতে দ্রবীভূত হবে এবং কোনগুলো পানিতে দ্রবীভূত হবেনা তা আমরা বুঝবো কিভাবে? এ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ক্ষারকক্ষার সঠিকভাবে চেনা যাবেনা। তবে নিচের বিষয়গুলো আয়ত্বে রাখলে ক্ষারক ও ক্ষার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।

তথ্যঃ 

১. সাধারণত পর্যায় সারণীর গ্রুপ-১ এর ক্ষার ধাতু সমূহের অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবণীয় হয়।

২. গ্রুপ-২ এর Ca, Sr, ও Ba এর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়।

৩. উভধর্মী অক্সাইডগুলো(O²⁻) সাধারণত পানিতে অদ্রবণীয় হয়। এক্ষেত্রে মনে রাখাতে হবে Cu, Zn, Pb, Al, Be এর অক্সাইড উভধর্মী অক্সাইড হয়। আরো মনে রাখতে হবে, দুর্বল তড়িৎ ধনাত্বক ধাতুর অক্সাইড গুলো উভধর্মী হয়। 

উভধর্মী অক্সাইড গুলো হলো: Al₂O₃, ZnO, PbO, CuO এ অক্সাইড গুলো শুধু ক্ষারক হিসেবে ব্যবহার হয়।

৪. দুর্বল তড়িৎ ধনাত্বক ধাতুর হাইড্রোক্সাইড সমূহ পানিতে অদ্রবনীয়।

যেমনঃ Al(OH)₃, Fe(OH)₃ প্রভৃতি যৌগ পানিতে অদ্রবণীয় তাই এর শুধু ক্ষারক হবে।

মনে রাখা ভালোঃ 

  • উভধর্মী অক্সাইডগুলো একই সঙ্গে দুর্বল এসিড ও দুর্বল ক্ষারক হিসেবে আচরণ করে,  এজন্য এদের উভধর্মী অক্সাইড বলা হয়।
  • যে সব ধাতু তাদের বাইরের কক্ষপথের ২টি বা ৩টি ইলেকট্রন ত্যাগ করতে পারে সে সকল ধাতু  দুর্বল তড়িৎ ধনাত্বক ধাতু হিসেবে আচরণ করে। কারণ ২ বা ৩টি ইলেকট্রন ত্যাগ করতে একটি বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।
Share to help others:

Leave a Reply