তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়।

 

তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়।

ক্ষারক রসায়ন বিজ্ঞানের মূল বিষয়গুলোর একটি। তাই তীব্র ক্ষারক ও দুর্বল ক্ষারক চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দুই ধরনের ক্ষারক দুই ধরনের বিক্রিয়া দেয়। তিনটা নিয়ম বা বিষয়ের মাধ্যমে আমার খুব সহজে তীব্র ও দুর্বল ক্ষারক চিনবো। যথা:-

  •         আকার অনুয়ায়ী
  •         বিয়োজন অনুযায়ী
  •         বিয়োজন ধ্রুবকের (kь) অনুযায়ী

তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপাগুলো:

i) ধাতুর আকার যত বড় হবে উক্ত ধাতু দ্বারা গঠিত ক্ষারক তত তীব্র হবে।

যেমনঃ KOH ও CsOH এর মধ্যে CsOH তীব্র ক্ষারক । কারণ K ধাতুর চেয়ে  Cs (সিজিয়াম) ধাতুর আকার বড়।

        এখানে K এর পারমাণবিক সংখ্যা = 19

        এবং Cs এর পারমাণবিক সংখ্যা = 55

নিচের ক্ষারকগুলোর তীব্রতা লক্ষ্য করি:-

LiOH

দুর্বল ক্ষারক

NaOH 

শক্তিশালী ক্ষারক

KOH 

তীব্র শক্তিশালী ক্ষারক

CsOH 

সবচেয়ে তীব্র শক্তিশালী ক্ষারক

মনে রাখিঃ যে ধাতুর ইলেকট্রন বিন্যাসে কক্ষপথের সংখ্যা যত বেশি হবে সে ধাতুর আকার তত বড়ে হবে।

যেমনঃ     Li(3) → 1s², 2s¹ (কক্ষপথ ২টি)

        Na(11) → 1s², 2s², 2p⁶, 3s¹ (কক্ষপথ ৩টি)

সুতরাং Li অপেক্ষা Na এর আকার বড় হবে।

ii) তীব্র ক্ষারক পানিতে বা জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরুপে বিয়োজত  হয়ে OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে। অপরপক্ষে দুর্বল ক্ষারক জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়োজিত হয়ে OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে।

যেমনঃ NaOH একটি তীব্র ক্ষারক

        NaOH (জলীয়) → Na⁺ + OH⁻ (100% বিয়োজিত হয়েছে)

অপরপক্ষে LiOH  একটি দুর্বল ক্ষারক

        LiOH (জলীয়) → Li⁺ + OH⁻ (আংশিক বিয়োজিত হয়েছে)

iii) যে ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবকের (kь) মান যত বেশি হবে সে ক্ষারক তত বেশি তীব্র হবে। এবং (kь) এর মান যত কত হবে সে ক্ষারক তত দুর্বল হবে।

আরো পড়ুন ঃ ক্ষারক চেনার সহজ উপায়

দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়। 

tag: তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। অম্ল ও ক্ষার কাকে বলে, তীব্র ক্ষারের নাম, এসিড ও ক্ষার চেনার উপায়, এসিড ও ক্ষারের বৈশিষ্ট্য, ক্ষারের উদাহরণ, ক্ষারের স্বাদ কেমন।

Share to help others:

This Post Has One Comment

Leave a Reply